সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
অগ্নিঝুঁকি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ইসাবের আলোচনা সভা

বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী: দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৪ ২০:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৪ ২০:২৮

আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিঝুঁকি দেশের জন্য অন্যতম মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে; এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।

শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন হলে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) কর্তৃক আয়োজিত অগ্নিঝুঁকি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সেফটি নিশ্চিতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভবন নির্মাণের সময় অবশ্যই বিল্ডিং কোড মানতে হবে। সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়ার জরুরী। খুব শীঘ্রই দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনায় বসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়েছে। ৮০ ডলার থেকে বর্তমানে আমরা ৪৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছি। এখন সময় এসেছে ফায়ার সেফটি খাতে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করা জরুরি। আমাদের এখন নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনস ও মেইনটেইনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বলেন, উন্নত দেশে পরিণত হতে গেলে সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্মাণ ব্যয়ের ২ শতাংশ এ খাতে খরচ করতেও অনেকে কার্পণ্য করেন। এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসাবের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. নিয়াজ আলী চিশতি। তিনি বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন গুলোতে অত্যাধুনিক অগ্নিসুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই। ৯৫ শতাংশ অগ্নিকাণ্ডের জন্য মানুষ দায়ী। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় এলপিজি গ্যাসের দায় ৮০ শতাংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ব্যানার পোস্টার টানানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এফবিসিসিআই'র নেতৃত্বে জাতীয় টাস্কফর্স গঠনের দাবি জানান তিনি।

ইসাবের মহাসচিব জাকির উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি আলী আহমেদ কায়সার, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ড. জিল্লুর রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম শাহজাহান সাজু, সহ-সভাপতি মো. মতিন খান, মোহাম্মদ ফয়সাল মাহমুদ, ইঞ্জি. মোঃ মনজুর আলম, এম মাহমুদুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. মাহমুদ-ই-খোদা, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ইঞ্জি মো. মাহাবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মো. নূর-নবী, প্রচার সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, ইসাবের পরিচালক মো. ওয়াহিদ উদ্দিন, ইঞ্জি. মো. আল-ইমরান হোসেন, মেজর মোহাম্মদ আশিক কামাল, মো. রফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন হলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


ফুটপাতের ৬ খাবারে উচ্চমাত্রার ডায়রিয়া জীবাণু

আপডেটেড ১০ জুন, ২০২৪ ০০:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

চটপটি, ছোলা-মুড়িসহ ফুটপাতের ৬ ধরনের খাবারের উচ্চমাত্রার ডায়রিয়া জীবাণু পাওয়া গেছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গতকাল রোববার পথ-খাবারে মাইক্রোবিয়াল বিপদ এবং রেস্টুরেন্টে রেডি টু ইট সালাদ আইটেম ও এসবের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ শীর্ষক গবেষণাপত্র উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ সায়েন্সের প্রধান বিজ্ঞানী মো. লুতফুল কবীর জানান, রাজধানীর রাস্তায় বিক্রি হওয়া ছোলামুড়ি, চটপটি, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরা জুস, মিক্সড সালাদে মাত্রাতিরিক্ত ই-কোলাই, ভিবরিও এসপিপি ও সালমেনেলার মতো মারাত্মক সব ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব ব্যাকটেরিয়া মানুষের পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে বড় রকমের ডায়রিয়া ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

লুতফুল কবীর বলেন, রাস্তায় ৬ ধরনের খাবারের ৪৫০টি স্যাম্পলের ওপর ভিত্তি করে এ গবেষণা করা হয়েছে। যারা রাস্তার পাশে খাবার বিক্রি করেন তাদের পানি দূষিত, হাত অপরিষ্কার, গামছা নোংরা এবং আশপাশের পরিবেশ ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ। এমন অবস্থায় খুব সহজেই এসব জীবাণু খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাদের আক্রান্ত করছে।

এসব জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে করণীয় জানিয়ে এ বিজ্ঞানী বলেন, বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যারা রাস্তার পাশে যত্রতত্র খাবার বিক্রি করেন তাদের খাবার বিক্রির কোনো সনদপত্র নেই। এদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। স্ট্রিট ফুড অর্থাৎ রাস্তার খাবার বিক্রেতাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা গেলে তাদেরও এক ধরনের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতি জেলায় কী পরিমাণ ফুড লাইসেন্স আছে এবং এই লাইসেন্সের আওতার বাইরে কারা খাবার বিক্রি করছেন, সেটি যাচাইয়ের আওতায় আনতে হবে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি লাইসেন্সের আওতায় একাধিক খাদ্যদ্রব্য বিক্রি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এগুলোর নজরদারি বাড়াতে হবে। জরিমানা থেকে শুরু করে যারা ভেজাল ও দূষিত খাবার বিক্রি করে তাদের আইনের আওতায় আনার ওপর জোর দেন সফিকুজ্জামান।


চার দিনের সফরে পাবনায় রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চতুর্থবারের মতো নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। এ সময় পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শুভেচ্ছা জানান। সেখান থেকে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।

পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি চতুর্থবারের মতো নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। তার সফরকে ঘিরে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তার সফর যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়, সে জন্য প্রশাসন তৎপর থাকবে।

পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনার সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন রাষ্ট্রপ্রধান। দুপুর ১টার দিকে সার্কিট হাউসের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ১১ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। দুপুর ১টার দিকে সার্কিট হাউসের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ১২ জুন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে পাবনা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নিজ জেলা পাবনায় আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির স্মৃতিবিজড়িত লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, প্যারাডাইস সুইটস অ্যান্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার পরিদর্শন করেন। পাবনা প্রেসক্লাবে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর পাবনা মিডিয়া সেন্টারেও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি শেখ কামাল হাইটেক পার্ক ও পাবনার রাজাপুরে হেলিপ্যাড নির্মাণেরও ঘোষণা দেন।


কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জমি ও ফ্ল্যাটে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার খুশি আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব নেতারা। তারা বলছেন, বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী। প্রস্তাবিত বাজেটে এই সুযোগ থাকায় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান নেতারা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রোববার এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সহসভাপতি এম এ আউয়াল, মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

ফ্ল্যাট নিবন্ধন ব্যয় কমানোর দাবি জানিয়েছেন রিহ্যাবের সভাপতি। তিনি বলেন, আবাসন খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের ধরন পরিবর্তন করা দরকার। বর্তমানে নিবন্ধন ফি ২২ শতাংশ। এটা কমানো হলে ক্রেতারা জমির সঠিক মূল্য দেখাতে উৎসাহিত হবেন। ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ সৃষ্টি স্বাভাবিকভাবে কমে আসব। তিনি এই ফি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি করেন।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছর বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় এসেছে। দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে সরকার।


টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মোদি

শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হয় তার শপথ অনুষ্ঠান। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। জহরলাল নেহরু ছাড়া ভারতের আর কোনো প্রধানমন্ত্রীর টানা তিন বার শপথ নেওয়ার কৃতিত্ব নেই।

নরেন্দ্র মোদির এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া প্রতিবেশী এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আরও ছয় দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান যোগ দেন শপথ অনুষ্ঠানে। এর মধ্যে রয়েছেন সেশেলসের উপরাষ্ট্রপতি আহমেদ আফিফ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জগন্নাথ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরাও।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানা গেছে, শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ-বিদেশের প্রায় ৮ হাজার বিশিষ্টজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেবেন বিদেশি অতিথিরা। এর আগে শপথ অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছাকাছি বিশাল এলাকাকে ‘নো ফ্লাই জোন’য়ের আওতায় আনা হয়। বিমান তো দূরের কথা, ফানুস বা ড্রোনও ওই এলাকায় ওড়ানো বা চালানো যাবে না।

শপথ পাঠের আগেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদি, যাদের মধ্যে অনেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি। সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসন পায়নি দলটি। তাই জোটের শরিকদের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে বিজেপিকে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট আসন ৫৪৩টি। এর মধ্যে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইনডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। তাই মোদির এবারের মন্ত্রিসভায় মিত্রদের জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদি আগের দুইবার বিজেপিকে নিয়ে এককভাবে সরকার গঠন করলেও এবার তাকে ‘এনডিএ’-কে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে। তার জোটের প্রধান দুই দল হলো তেলেগু দেশাম পার্টি (টিডিপি) এবং বিহারের জনতা দল (ইউনাইটেড)। দলগুলো সদ্যই শেষ হওয়া লোকসভার নির্বাচনে যথাক্রমে ১৬ এবং ১২টি আসনে জয় পেয়েছে, যা মোদিকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ফলে শরিক দলগুলোকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে হচ্ছে তাকে।

কে কে জায়গা পাচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভায়?

বিজেপি নেতা অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন এটি নিশ্চিত। এ ছাড়া শিভরাজ সিং চৌহান, বসভরাজ বোম্মাই, সর্বনানন্দ সোনোওয়াল, মনোহর লাল খাত্তারের মতো সাবেক মুখ্যমন্ত্রীরাও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বলে মনে করছেন ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় আরও চমক থাকতে পারে।


রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন: স্পিকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডের সঙ্গে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাতে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, বাজেট অধিবেশন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছেন। আরএমজি সেক্টরে কর্মরত নারীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। নারীরা পরিবর্তনের দূত। তাই নারীদের পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য নারীদের অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

স্পিকার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজ (বিআইপিএস) আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি ইউনিট। বিআইপিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের দ্বারা সংসদবিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা করা হবে। বিআইপিএস আয়োজিত ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হচ্ছে। এ দেশে রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘদিনে চলমান রয়েছে। এ সমাধানে আন্তর্জাতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে।’

সাক্ষাতে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, বাংলাদেশ সুইডেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর অতিক্রম হয়েছে। বাংলাদেশের নারীরা সব বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়:

দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ২০:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

আজ রোববার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লক্ষ যেখানে কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি। এবার দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আমাদের আছে। চোরাচালানের মাধ্যমে কেউ দেশে পশু এনে থাকলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। রাতের আঁধারে কিছু গরু দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তবে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে, তারা অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন।’

আজ সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাংবাদিকদের প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ টিম জরুরি সেবায় নিয়োজিত থাকবে।

কর্মশালায় বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মানুষের খাদ্যের গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।’

এ সময় মন্ত্রী পশুর জন্য কোন খাবারটি উপযুক্ত কিনা- তা গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনার জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।


‘বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ কর্মী নেবে জাপান’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাপানের কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি।

আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাপানের বিভিন্ন কোম্পানির ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ পেশাদার, কারিগরি ও নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘জাপানের প্রতিনিধি দলকে তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য টিটিসির ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে তারা আগ্রহী কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং যোগ্যদের বাছাই করতে সক্ষম হবে।’

জাপান প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, তাদের অনেক দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জাপানের ইউরিগুমি মেরিটাইম কোম্পানি লিমিটেডের মাসাফুমি ইউরিগুমি।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পরিস্থিতি, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন ও অভিযোগ করার সময়সীমা শেষ হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আশা করছি, যারা দোষী তাদের কি ধরনের সাজা দেয়া যায়, সেই ব্যাপারে সুপারিশ থাকবে। এ ছাড়াও, মালয়শিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


শিশুকে খেলাধুলার ‍সুযোগ দিতে হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম এবং তাদেরকে খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।

আজ রোববার সকালে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুর সুস্থ ও সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে খেলাধুলা কার্যকর ভূমিকা রাখে, যার মাধ্যমে শিশুর শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, সহযোগিতা ও পরমতসহিষ্ণু বেড়ে ওঠে।

দেশপ্রেম ও কর্তব্যপরায়ণ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও খেলাধুলার বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সামাদ।

বিষয়:

এল কে আদভানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদভানির নিজ বাড়িতেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে উভয় নেতা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়াও তারা পরস্পর সৌহার্দ্য বিনিময় ও অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করেন।’

আজ সন্ধ্যায় টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্দেশে তিনি গতকাল শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছনি।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস, নেপাল ও ভুটানের শীর্ষ নেতারা এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগেও স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১৮:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাশাপাশি ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক হওয়া ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আজ রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ কথা জানান।

দীপু মনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে জীবন-জীবিকার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল এ রূপ ঠিকানাবিহীন কত লোক বসবাস করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নদী ভাঙন, অতি দারিদ্র্য, রোগ, ব্যাধি, অশিক্ষা প্রভৃতি কারণে কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছেন। যাদের প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের দরকার আছে। তবে কিছু কিছু কর্মবিমুখ লোক সহজ আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছু দুষ্টচক্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অসহায় মানুষদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সমাধানে সরকার ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে ভিক্ষুকদের ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন করা হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও পুনর্বাসন উপখাতে ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’


‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ’

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৩০তম সভায় রোববার বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১৯:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সদিচ্ছার বড় প্রমাণ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৩০তম সভায় এ কথা জানান। সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ও স্বাধীনতার পাশাপাশি সাংবাদিকদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় বিশ্বাস করেন। গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের যেমন বিস্তৃতি ঘটেছে, তেমনি সাংবাদিকদের কল্যাণেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এই ট্রাস্ট গঠন প্রমাণ করে তার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকবান্ধব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিতভাবে অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব কার্যক্রম সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অঙ্গীকারের বহিপ্রকাশ।’

ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান প্রদানে সাংবাদিকদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র (বাদল), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য জাফর ওয়াজেদ, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য দীপ আজাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কলিম সরওয়ার উপস্থিত ছিলেন।


সন্ধ্যায় মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ৮,০০০ জনের বেশি বিশিষ্টজনের রেকর্ড উপস্থিতি দেখা যাবে।

এছাড়াও নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি কর্তৃক আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন। একই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মু।

শপথ অনুষ্ঠানকে চিহ্নিত করে, অনুষ্ঠান চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনে এবং বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিল্লিকে একটি বহু-স্তর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর গতকাল শনিবার সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন, ভিভিআইপি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান।

নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দেওয়া রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টায় (নয়া দিল্লির সময়) ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ত্যাগ করার কথা রয়েছে এবং ওই দিন রাত ৮টায় (বিডি সময়) ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার টেলিফোনে আলাপের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

মোদি ৯ জুন শপথ নিতে চলেছেন। এর আগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩টি আসন জিতেছে এবং নির্বাচনে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক ২৩৪টি আসন পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানানো প্রথম বিদেশী নেতাদের অন্যতম। যা দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উষ্ণতা প্রতিফলিত করে।

এর আগে শেখ হাসিনা লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান।

এতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক।’

ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে শেখ হাসিনা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র বিজয়ের জন্য মোদিকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

নির্বাচনে বিজয়ের পর শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য মোদি তাকে ধন্যবাদ জানান।

মোদি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে তিনি একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

দুই নেতা বিকশিত ভারত ২০৪৭ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে নবায়নকৃত ম্যান্ডেটের আওতায় ঐতিহাসিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।


মে মাসে বিজিবির অভিযানে ১৫৭ কোটি টাকার পণ্য জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৫৭ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।

আজ রোববার বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্যমতে, জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৬৬০ গ্রাম সোনা, ৩ কেজি ৩৭০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ২২ হাজার ৭৮৩টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২ হাজার ৬৭৫টি ইমিটেশন গহনা, ১৪ হাজার ৯৮৯টি শাড়ী, ১০ হাজার ৫৭৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৩২১ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা পাতা, ২৬ হাজার ৯২০ কেজি কয়লা, ৩০০ ঘনফুট পাথর, ২ কেজি ৪৭১ গ্রাম সাপের বিষ, একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৮টি ট্রাক, তিনটি পিকআপভ্যান, দুইটি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, একটি বাস, একটি মাহেন্দ্র/ট্রাক্টর, ২৬টি নৌকা, ৩৩টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৮৯টি মোটরসাইকেল এবং ৩৪টি বাইসাইকেল।

এছাড়া জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, ১১টি গান, একটি ম্যাগাজিন, ৩ কেজি ৯৮০ গ্রাম গান পাউডার এবং ৬ হাজার ৯১০ রাউন্ড গুলি।

এতে আরও বলা হয়, গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যও জব্দ করেছে বিজিবি। তার মধ্যে আছে- ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৭টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ কেজি ৪২২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ৩৬ হাজার ৩৫২ কেজি হেরোইন, ১০ হাজার ৭৬০ বোতল ফেনসিডিল, ২২ হাজার ৬২১ বোতল বিদেশি মদ, ২৯৯ লিটার বাংলা মদ, ৫৯৩ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৫০৩ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৮০৮টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ২ হাজার ৯১১ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৮ দশমিক ৫৮০ কেজি কোকেন, ১ কেজি আফিম, ৮২০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৬৬১টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১১ বোতল এলএসডি এবং ১১ হাজার ৯৯৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭৬ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক, আটজন ভারতীয় নাগরিক এবং ৬৪২ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


banner close